-->

Thursday, May 21, 2015

মাসুদ খান এর ছড়া

রাজধানী

আমলিগোলার গোলাপপানি
নবাবপুরের বাখরখানি
হাজিসাবের বিরিয়ানি
চলো গিয়ে কিনে আনি।


বাদামতলির বাদামভাজা
গরম-গরম টাটকা তাজা
দিনদুপুরে ঠগ-কারবার
চলছে হাজার মগের বাজার।

ধানমণ্ডির ধানের গোলা
দিনে দিনে ফাঁপা-ফোলা
কোত্থেকে এক নড়েভোলা
ছুড়ে মারে আগুন-গোলা।

পোস্তগোলার পোংটা পোলা
দ্রব্যগুণে ‘হক-মওলা!’
 কল্যাণপুর? কল্যাণী রায়
বনবাসে বনানী যায়।

হাতিরঝিলের জোনাক-জ্বলা
ঝিলের ধারে কথাবলা
তোতাসহ হরেকবোলা
মজমা জমায় নামিয়ে ঝোলা।

রাজারবাগে রাজার দাপট
কাঁটাবনে পাখির ঝাপট
পিলখানাতে পাগলা হাতি
ভূতের গলির ভৌতবাতি।

ধোলাই মেশিন ধোলাইখালে
জিঞ্জিরাতে নতুন চালে
নকল জিনিশ তৈরি-কালে
খাচ্ছে ধরা গোলেমালে।

নীলখেতের নীলের চাষী
খিলখেতের ঝর্না মাসি
প্রতিবছর চরম শীতে
গাব খেতে যায় গাবতলিতে।

বহুদূরে কামারজানি
সেইখানকার রত্না রানি
সংসারে তার টানাটানি
ভাগ্যদোষে রাজার ধানী।

শ্যাওড়াপাড়ার ক্যাওড়া ভূতে
ওমর ওঝার এক ঝাড়ুতে
পালিয়ে যায় ভাসানটেকে
ওঝা বলে, “কেমন ঠেকে?”

মতিঝিলের ছন্নমতি
মতি মিয়ার ভীমরতি
ক্রমেই নাকি ঊর্ধ্বগতি
নাই যে কোনো ছেদ-যতি।

বুড়িগঙ্গার ময়লা পানি
জলজ প্রাণীর ছটফটানি
নগরবাসীর হাঁসফাঁসানি
এসব নিয়েই এ-রাজধানী।

নগরপিতার ধানাইপানাই
সবকিছু তো আছে জানাই।

No comments:

Post a Comment